চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাস-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর নিহতের ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে চুয়েট ক্যাম্পাসের সামনে গাছ ফেলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধে কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়াও টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলন চলাকালীন সাত দফা দাবি উত্থাপন করে শিক্ষার্থীরা। এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম (ক্লাস ও পরীক্ষা) বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
দাবিসমূহ হলো, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে মামলার মাধ্যমে তৌফিক ও শান্ত হত্যার বিচার, ক্ষতিপূরণ ও শাহ আমানত বাস কর্তৃপক্ষকে আহত চুয়েট ছাত্র হিমুর সকল চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে হবে; চট্টগ্রাম কাপ্তাই মহাসড়কে শাহ আমানত ও এবি ট্র্যাভেলসসহ সকল লোকাল বাস চলাচল বন্ধ করতে হবে; চুয়েটে বাস পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে হবে এবং আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ অক্সিজেন সিলিন্ডার সমৃদ্ধ চুয়েট অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে; চুয়েট মেডিকেল সেন্টারের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
এ সব দাবি লিখিতভাবে আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এবং আন্দোলন চলবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের পাশাপাশি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে নিহত শিক্ষার্থীদের গায়েবানা জানাজা আদায় করা হয়। এবং দুপুর ৩টায় শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে শিক্ষার্থীদের।
উল্লেখ্য, সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর সংবাদে চুয়েট শিক্ষার্থীরা শাহ আমানতের তিনটি বাস ভাঙচুর এবং ১টি বাসে আগুন দেন। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।