একটি নতুন ধরনের অপরাধের প্রসারের সাথে এখন তৈরি হচ্ছে একটি জটিল জগত। ‘‘গোপন তথ্যের প্রকাশ্য ব্যবসা’’ নামক একটি অপরাধ বাড়ছে; যা আমাদের সমাজে এখনো অপঠিত। এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধের জন্য সম্প্রদায়, সরকার এবং তথ্য প্রযুক্তির পরিকল্পনা প্রয়োজন।
সম্প্রতিক কয়েক মাসে, ‘গোপন তথ্যের প্রকাশ্য ব্যবসা’ নামক একটি অপরাধের ধারনা সংবাদমাধ্যমের কলামে দেওয়া হয়েছে। যাতে তুলে ধরা হয়েছে যে,‘‘ লাখ লাখ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের সাথে খেলা হচ্ছে।’’ এই ধরনের অপরাধে জড়িত হয়েছে ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া এবং মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলি। এই ঘটনার জন্য সরকার, সমাজ, এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে একসাথে কাজ করতে হবে যাতে এই অপঠিত অপরাধের প্রতি প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়।
সমাজকে এই ধরনের অপরাধের চেতনা বৃদ্ধি করা জরুরি। জনগণকে তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বোঝাতে সাহায্য করতে হবে। এটি প্রতি সমাজের জনগণের জন্য একটি সামাজিক দায়িত্ব।
আইনশৃঙ্খলা এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে এই অপরাধের বিরুদ্ধে কঠিন আইনি কার্যক্রম হওয়া জরুরি। সরকারকে এই অপরাধের বিরুদ্ধে কঠিন আইন, প্রযুক্তিতে গুরুত্ব দিতে হবে যাতে অপরাধীদের প্রতি শাস্তি নিশ্চিত হতে পারে।
সুতরাং, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সাইবার ক্রাইম বিভাগসহ বিভিন্ন সংস্থা একসাথে কাজ করতে হবে।
আমাদের সমাজের জনগণকে তাদের তথ্যের সুরক্ষা করতে শেখাতে হবে। সত্য ও ভুয়া তথ্য প্রকাশের বিষয়ে তাদের সচেতন করতে হবে। এছাড়া, সরকার এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একত্রে কাজ করতে হবে তাতে এই অপরাধের প্রতি প্রতিরোধ মনভাব তৈরি হয়।
সম্প্রতি একটি ঘটনা হিসেবে উদাহরণ হলো, গত বছরে রেজিস্ট্রার জেনারেলের দফতর থেকে তথ্য ফাঁস হওয়ার ঘটনার পর সরকারকে তথ্য সংরক্ষনে জরুরি প্রদক্ষেপ নেওয়ার দিকে বিবেচনা করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে যে, জনগণ তথ্য সত্য এবং ভুয়া তথ্য প্রকাশের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে।
পরিস্থিতি বোঝাতে তথ্য প্রযুক্তির সাথে সহজে জড়িত হওয়া এবং গোপন তথ্যের প্রকাশ্য ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে আমাদের সমাজে একটি জটিল সময়ের সামনে আমাদের সমাজ।
এই সময়ে সরকার, সমাজ, এবং তথ্য প্রযুক্তি একসাথে কাজ করতে হবে যাতে এই অপঠিত অপরাধের প্রতি প্রতিরোধ গড়ে তুলা যায়। আমাদের সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা অবশ্যই এই বিষয়ে মোকাবিলা করতে হবে তাতে সফল হতে হলে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের সাথে সহযোগিতা প্রদান করতে হবে।
তথ্য ব্যক্তিগতকরণে আমাদের সমাজের জনগণের সুরক্ষা এবং সত্যতা প্রবর্তনের উপায় বার্তা প্রয়োজন। এই সময়ে, সকল বৃহত্তর বা যুবক প্রজন্মের জন্য সাইবার সুরক্ষা ও সচেতনতা ক্যাম্পেইন চালানো গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের ক্যাম্পেইনগুলি জনগণকে সত্য এবং ভুয়া তথ্যের মধ্যে পার্থক্য বোঝাতে এবং এর প্রতি সচেতন করতে সাহায্য করতে পারে।