বিজয়ী প্রার্থীর কর্মীকে মারপিট ও জখমের মামলায় রাতে গ্রেফতারের পর দুপুরেই জামিনে বেরিয়েছেন নাটোর সদর উপজেলা পরিষদে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল হোসেন মিলন ও তার গাড়ি চালক আবুল বাশার।
আজ দুপুর ১২টার দিকে নাটোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শানু আকন্দের কোর্টে মিলন ও তার গাড়ী চালককে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। এসময় বিচারক তাদের দু’জনের জামিন মঞ্জুর করেন।
মিলন ও তার গাড়ী চালক গ্রেফতার!
জামিন পেয়ে বেলা ৩টার দিকে মিলন ও তার গাড়ি কোর্ট হাজত থেকে মুক্তি পান।
এরআগে গতরাতে জামিল হোসেন মিলন ও তার গাড়ী চালক আবুল বাশারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গতরাতে মিলনের তালতলা হাফরাস্তা চেম্বার থেকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় মিলনকে প্রধান আসামী করে ১২জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে রুবেল ইসলাম গাজীর পিতা আলম গাজী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নাটোর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান এর কাপ পিরিচ মার্কায় ভোট করেন তালতলা হাফরাস্তা এলাকার রুবেল ইসলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গতরাত ৯টার দিকে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিলুর রহমান মিলন ও তার সমর্থকরা রুবেল ইসলামকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় মিলনের চেম্বারে। সেখানে ব্যাপক মারপিট করা হয় রুবেলকে। এসময় হাত, পা ও মাথায় গুরুতর জখম করা হয়।
পরে নাটোর ডিবি ও সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিলনের চেম্বার থেকে রুবেল ইসলামকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ প্রথমে মিলনের গাড়ী চালক বাশারকে আটক করে। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে মিলনকে সদর থানায় নেওয়া হয়।