নির্মাণের পনের দিনের মধ্যে নাটোরে খালের ওপর বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত একটি ফুট ব্রীজের এ্যপ্রোচ ধ্বসে গেছে। টানা বৃষ্টিতে ব্রীজের এক অংশের এ্যপ্রোচ ধ্বসে যাওয়ায় ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।
নির্মাণ ত্রুটির পাশাপাশি অনিয়মের মাধ্যমে ব্রীজটি নির্মান করায় পনের দিনেই ৫৩লাখ টাকার ব্রীজের এমন পরিনতি। এতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা।
*এলাকাবাসী প্রতিবাদ করায় বিএমডির প্রকৌশলী চাঁদাবাজির মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়-বলেন ভুক্তভোগিরা।
বিএমডিএ’র ভূউপরিস্থ পানির ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে সেচ সম্প্রসারণ ( ইআইএনডি) প্রকল্পের আওতায় কৃষকের ফসল পরিবহনের জন্য প্রায় ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নাটোর সদর উপজেলার বড় হরিশপুর ইউনিয়নের কামারদিয়ার খালের ওপর ফুট ওভার ব্রীজ নির্মাণ করে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু গত রাতের টানা বৃষ্টিতে ব্রীজের পূর্ব অংশের এ্যপ্রোচ ধ্বসে যায়। সৃষ্টি হয় বড় বড় ফাটল। ফলে ব্রীজটি ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়ে।
স্থানীয় ইউপ সদস্য সোহরাব হোসেন জানান, এলাকাবাসীর আপত্তি উপেক্ষা করে নিম্নমানের কাজের কারণে এমনটি হয়েছে। এছাড়া মূল সড়ক বাদ দিয়ে ব্রীজটি অন্যের জমিতে নির্মাণ করায় কৃষকদের জন্য ফসল পরিবহন ব্যহত হবে।
আমিনুল এন্টার প্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিস্ঠান কাজ পেলেও ব্রীজটি নির্মাণ করেন নাটোর শহরের ঠিকাদার খোকন। সেল ফোনে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, ব্রীজটি নির্মাণে কোন ত্রুটি নেই। জামানত রয়েছে, পুনরায় মেরামত করে দেওয়া হবে। তাছাড়া অ্যাপ্রোচ সড়কটির নতুন মাটি হওয়ার কারণে বরেন্দ্রকে এখন কাজ করতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তারা নতুন মাটিতেই কাজ করে নিয়েছে।
বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ণ কর্তৃপক্ষের নাটোর সদর উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানান, কামারদিয়ার খালের ওপর ৩টা ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি ব্রীজ নির্মাণে ৫২লাখ টাকা করে ব্যায় ধরা হয়েছে। তবে ব্রীজের ধ্বসে যাওয়া অংশটি মেরামতের জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখনও ব্রীজটি হস্তান্তর করেনি ঠিকাদার।