বিএনপি নেতাদের গুলি ও কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় নাটোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল সহ ৬২জনের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।
শনিবার দুপুরে নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন এবং জেলা বিএনপির সদস্য সাইফুল ইসলাম আফতাব মামলা দুটি দায়ের করেন। এছাড়া মামলায় শফিকুল ইসলাম শিমুলের ভাই সাজেদুল আলম সাগর, নাটোর পৌরসভার কাউন্সিলর জাহিদুর রহমান জাহিদ সহ আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের আসামী করা হয়েছে।
প্রথম এজাহারে ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন বলেন, চলতি বছরের ১৩ মার্চ দুপুরে কোটে একটি মামলার হাজিরা শেষে সিংড়া যাওয়ার সময় সদর উপজেলার সড়ক ও জনপথ ভবনের সামনে তৎকালীন সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের নির্দেশে এজাহার নামীয় আসামি সাগর, জাহিদ, কোয়েল, সেলিম, মিলন, সায়েম হোসেন উজ্বল, খোকন, মলয়, আমিনুল ইসলাম, কানন, সজিব, সবুজ, রাসু, মাহাতাব, সৌমেন, স্বপন, শিহাব, হৃদয়, আলিফ, জনি, সুমন, সুমন মৃধাসহ আরো ১০/১২জন প্রাইভেটকার ও হাইএস গাড়িতে করে এসে তার মোটরসাইকেল থামিয়ে এলোপাথারি মারপিট ও গুলি করে ফেলে রেখে যায়। এঘটনায় চিকিৎসা শেষে থানায় নিজে হাজির হয়ে এজহার দায়ের করেন ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন।
দ্বিতীয় মামলার এজাহারে সাইফুল ইসলাম আফতাব বলেন, গত বছরের ২৯ অক্টোবর মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ শেষে নিজ বাড়ীতে ফেরার সময় স্টেশন এলাকার মামুন ফার্মেসীর সামনে তৎকালীন সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের নির্দেশে এজাহার নামীয় আসামি সাগর, জাহিদুর, জামিল হোসেন মিলন, সায়েম হোসেন উজ্জ্বল, মলয় কুমার, আমিনুল ইসলাম আজম, কোয়েল, কানন, সেলিম. সজিব, সবুজ, মাহাতাব, সৌমেনসহ আরো ১০/১২জন মোটরসাইকেল নিয়ে এসে তার পথ রোধ করে এলাপাথারি মারপিট ও গুলি করে ফেলে রেখে যায়। এঘটনায় চিকিৎসা শেষে থানায় নিজে হাজির হয়ে এজহার দায়ের করেন তিনি।
মামলা বাদী ও নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন বলেন, আহত হওয়ার পর মামলা করার পরিবেশ ছিল না। তাই দীর্ঘ দিন চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা দায়ের করলাম। অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শ্বাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
মামলার এজাহারের সত্যতা নিশ্চিক করে নাটোর সদর থানার উপ-পরিদর্শক কৃষ্ণ মোহন বলেন, এজাহার দুটি গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।