নাটোরের সিংড়ায় শৈলমারী খালে মাছ মারাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সিংড়া পৌর এলাকার শৈলমারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স এবং ৩ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা কাশেম গ্রুপের আহতরা হলেন, আ: হালিম (৬৫) পি: মজনু, আ: সালাম (৫৫) পিতা রুস্তম আলী, সেলিম( ৪০) পিতা: মোতাহার, আবুল কালাম ( ৫৭) পি: রুস্তম আলী, রফিকুল ( ৫৩) পিতা: নুরুজ্জামান, তসলিম( ৩০) পি: নুরুজ্জামান।
অপরদিকে’ বিএনপি নেতা আশরাফুল গ্রুপের আহতরা হলেন, শরিফুল ( ৩২) পিতা: আসলাম, রাকিবুল ( ২৫) পিতা: রাসেদ আলী, ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি মোস্তফা ( ৩২), ইয়াদ আলী (৫৫) পিতা: রাসেদ আলী, শিপন (১৯) পিতাঃ ইয়াদ আলী, ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খোরসেদ আলম (৩০), উপজেলা ছাত্রদলের ১ নং যুগ্ন আহবায়ক আশরাফুল ( ৩৫) পিতা: রাসেদ আলী।
জানা যায়, শৈলমারী খালে মাছ মারতে যায় আশরাফুল সহ তার লোকজন।
এসময় হাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা কাসেম আলী বাধা দেয়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ধারালো অস্ত্র, লাঠি সোটা নিয়ে সংঘর্ষ উভয় পক্ষে আহত হয়।
আশরাফুল ইসলাম বলেন, আবুল কাশেম ও তার লোকজন ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় লিজ নেয়। শৈলমারী গ্রামের প্রায় শতাধিক লোক মাছ মারতে গেলে তারা বাধা দেয়। সরকারী খাল লিজ দেয়ার অধিকার তাদের নাই। তারা আমাদের অন্যায়ভাবে মেরেছে।
তবে আবুল কাশেম জানান, আমরা সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়েছি।লিজকৃত জমিতে খাল খনন করা হয়েছে। আমাদের বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। অন্যায় ভাবে তারা মাছ মারতে আসলে এলাকার লোকজন বাধা দেয়।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক বলেন, এ বিষয়ে সিংড়া থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ তৎপর।